এবার লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন প্রধান হাসেম সাফিয়েদ্দিনকে নিশানা করে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। বিমান হামলা কবলিত এলাকায় ইসরায়েল এখনো বোমা হামলা অব্যাহত রাখায় উদ্ধারকর্মীরা সেখানে ভিড়তে পারছেন না।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) থেকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এই কারণে হাসেম সাফিয়েদ্দিনকে নিশানা করে ইসরায়েলি বিমান হামলার স্থানে উদ্ধারকর্মীরা যেতে পারছেন না। ফলে তারা সেখানে উদ্ধারকাজও করতে পারছেন না। লেবাননের তিনটি নিরাপত্তা সূত্র শনিবার রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় হাসেম সাফিয়েদ্দিন। তিনি নাসরাল্লাহর মামাতো ভাই। তাকেই নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় গত বুধবার (০২ অক্টোবর) রাতে বৈরুতে হিজবুল্লাহর নির্বাহী কমিটির প্রধান হাসেম সাফিয়েদ্দিনকে নিশানা করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিনজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে হাসেম সাফিয়েদ্দিন নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করেন। তিনি জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য, যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটির সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। হাসেম সাফিয়েদ্দিন হাসান নাসরাল্লাহর মামাতো ভাই এবং তার মতোই একজন ধর্মীয় নেতা। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর হিসেবে পরিচিতমূলক কালো পাগড়ি পরেন। তাকে নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, বৈরুতের দক্ষিণের একটি উপশহরে এই হামলা হয়েছে। সেখানে হিজবুল্লাহর অনেক স্থাপনা রয়েছে। হামলার সময় হাসেম সাফিয়েদ্দিন গভীর ভূগর্ভের একটি বাংকারে অবস্থান করছিলেন। তবে হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন কিনা, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। লেবাননের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে নাসরাল্লাহকে মারতে যে হামলা ইসরায়েল করেছে তার চেয়ে এবারের হামলা অনেক ভয়াবহ ছিল। তবে তারাও হতাহতের সংখ্যা জানাতে পারেনি।